
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বারবার আক্রমণের মাধ্যমে জনগণকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার স্পেশাল এডভাইজরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমার এই অভিযোগ করেছে।
কাউন্সিল জানিয়েছে, জান্তা খাদ্য সরবরাহ ধ্বংস করেছে, খাদ্য ও ওষুধ আনার জন্য ব্যবহৃত সড়ক বিচ্ছিন্ন করছে এবং গবাদি পশু হত্যা করেছে। দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর সময় কৃষকদের তাদের ফসল কাটাতে বাধা দিয়েছে।
জাতিসংঘের হয়ে মিয়ানমারে কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বিশেষজ্ঞদের এই কাউন্সিলে। তারা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী রাজনীতিবিদদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সাথে কাজ করা, যাতে মানুষের সমর্থন পাওয়া যায়।
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রাক্তন সদস্য ক্রিস সিডোটি বলেছেন, ‘কী করা উচিত তা ভেবে হাত নাড়ানোর পরিবর্তে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এনইউজি’র সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে পারে এবং সীমানা পেরিয়ে দেশে ও জনগণের সহায়তা পেতে পারে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সামরিক শাসনের অবসানের দাবিতে গণতন্ত্রপন্থীরা বিক্ষোভ করলে নির্মমভাবে তাদের দমন করে সরকার। সেনা নিপীড়ন থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মানুষ দেশ থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নেয়। দেশের ভেতরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে দমনের জন্য উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানো হয়।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পর ছয় লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এসব মানুষ খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সংকটে ভুগছে।
পাঠকের মতামত